‘আইনের শাসন ও বিচার বিভাগীয় দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না’
নিজস্ব প্রতিবেদক
আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগীয় দুর্নীতি পাশাপাশি চলতে পারে না। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা যদি দুর্নীতিগ্রস্ত হন, তাহলে আইনের শাসন বই পুস্তকেই সীমাবদ্ধ থাকবে। এটি বাস্তব রূপ কখনোই লাভ করবে না। জনগণের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আমরা বিচার বিভাগ যদি ব্যর্থ হই, তাহলে জনগণ বিকল্প উপায় খুঁজতে বাধ্য হবে, যেটি কল্পনাও করা যায় না।
পরিত্যক্ত সম্পত্তি-সংক্রান্ত এক রায়ে এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
রাজধানীর কয়েকটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি নিয়ে করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের রায়ে ২০১৯ সালের (১১ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ এমন পর্যবেক্ষণ দিয়েছিলেন। যেটি সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
রায়ে পাওয়া তথ্য মতে, ১৯৮৮ সালে কেএএম আশরাফ উদ্দিন কাকরাইলের ৫৬/৫৭ হোল্ডিংয়ের ছয় কাঠা (বাড়ি নম্বর-৫৬), লুৎফুন্নেছা রহমান চার কাঠা (বাড়ি নং-৫৬/১) এবং ১৯৮৯ সালে একেএম ইদ্রিস হোসেন তালুকদার ও তার স্ত্রী জামিলা খাতুন সাড়ে ছয় কাঠা (বাড়ি নম্বর-৫৭) জামির মালিকানা দাবি করে পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে সেগুলো বাতিল চেয়ে সেগুনবাগিচার সেটেলমেন্ট আদালতে আবেদন করেন।
আবেদনকারীরা সবাই দাবি করেন, তারা ১৯৭৩ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারারাম জয়সুরিয়া ওরফে চিও রতন ওরফে তারারাম মুচির কাছ থেকে এই জমি কিনেছেন।
পরে ১৯৯৫ সালের ২৭ নভেম্বর ১৬ কাঠা জমি পরিত্যক্ত সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ঢাকার প্রথম সেটেলমেন্ট আদালত রায় দেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পৃথক রিট আবেদনে জারি করা রুল মঞ্জুর করে রায় দেন হাইকোর্ট।