মাসে ৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বিতরণ করতে পারছে না ব্যাংক
অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
মহামারি করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে বড় ভূমিকায় রয়েছে দেশের ব্যাংকিং খাত। এই ব্যাংক খাত থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৬ হাজার কোটি টাকার সামান্য বেশি ঋণ পাচ্ছেন গ্রাহক। যদিও ব্যাংকের কাছে বর্তমানে অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে এক লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এরমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা নগদ রয়েছে ব্যাংকের কাছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত এই আট মাসে ব্যাংকগুলো মাত্র ৪৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এরমধ্যে গত আগস্ট মাসে বিতরণ করেছে ৬ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, গত জানুয়ারি ও জুলাই এই দুই মাসে নতুন ঋণ বিতরণের চেয়ে আদায় বেশি হয়েছে। ফলে এই দুই মাসে বিতরণ করা ঋণের পুঞ্জিভূত পরিমাণ কমে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা যায়, গত এপ্রিল মাসে ব্যাংকগুলো থেকে ব্যবসায়ীরা ৮ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছেন। যদিও এপ্রিল মাসজুড়েই অর্থনীতিতে স্থবিরতা ছিল। গত মার্চ মাসে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৭ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা। ফেব্রুয়ারি মাসে বিতরণ করেছে ৬ হাজার ৪২৬ কোটি টাকার ঋণ। তবে আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঋণ গত মে মাসে বিতরণ করা হয়। ওই মাসে ১৪ হাজার ৪৪৭ কোটি টাকা নতুন ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো। পরের মাস জুনে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করেছে ৭ হাজার ৭১৪ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের শেষ মাস অর্থাৎ ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পুঞ্জিভূত পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ কোটি টাকা। ২০২০ সালের আগস্ট মাসের শেষে বিতরণ করা ঋণের পুঞ্জিভূত পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত আট মাসে ব্যাংকগুলোর খাতায় নতুন ঋণ যুক্ত হয়েছে মাত্র ৪৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, ‘প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের জন্য সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বলা হচ্ছে। আমরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে টাকা যেহেতু জনগণের, সেহেতু দেখেশুনে দিতে হচ্ছে। ফলে কিছুটা সময় লাগছে।’