ধর্ষকের পাশবিকতা রুখতেই সাজা বৃদ্ধি: প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধর্ষকের ‘পাশবিকতা’ রুখতেই তার সরকার ধর্ষণ ও নির্যাতন আইন সংশোধন করে শাস্তির মাত্রা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
একের পর এক যৌন নিপীড়নের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ আর বিক্ষোভের মধ্যে ‘জরুরি’ বিবেচনায় আইনটি সংশোধনের পর মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ বিষয়ে কথা বলেন সরকারপ্রধান।
২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি এতদিন ছিল যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। আর ধর্ষণের শিকার নারী বা শিশুর মৃত্যু হলে বা দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল মৃত্যুদণ্ড।
নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেয়া, সিলেটের এমসি কলেজে তরুণীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে আইন সংশোধন করে শাস্তি বাড়ানোর দাবি জানানো হচ্ছিল বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে।
পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আইন সংশোধন করে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড করা হয়। আজ দুপুরে সেই আইনে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নিয়ে অধ্যাদেশ জারি হয়।
এ বিষয়ে আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ধর্ষণ করলে সেখানে যাবজ্জীবনের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ইতিমধ্যে আমরা ক্যাবিনেটে সেই আইন পাস করে দিয়েছি। যেহেতু পার্লামেন্ট সেশনে নেই, আমরা এটি অধ্যাদেশ জারি করে দিচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, যে কোনো একটা সমস্যা দেখা দিলে সেটি মোকাবেলা করা এবং সেটিকে দূর করা- এটিই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগও সরকারকে মোকাবেলা করতে হয় মন্তব্য করে ‘অগ্নিসন্ত্রাসের’ ঘটনাগুলো তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।