নিখোঁজের দুই দিন পর মিলল লাশ, শরীরজুড়ে খুনিদের নৃশংসতা
গাজীপুর প্রতিনিধি : ১৩ ডিসেম্বর, ২০২০ ০৮:৩৩ |
গাজীপুরের কাপাসিয়ায় নিখোঁজের দুই দিন পর কলাবাগানের ভেতর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই যুবককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ ফেলে গেছে খুনিরা। নিহত যুবকের শরীরজুড়ে ছিল খুনিদের নৃশংসতা। মরদেহের বাঁ কান ও চোয়াল বিচ্ছিন্ন ছিল।
আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা সদর ইউনিয়নের সাফাইশ্রী এলাকার শ্রী শ্রী শ্মশান কালীমন্দিরের পশ্চিম পাশে কলাবাগানের ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম রাজীব ধর (৩১)। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের বরাইদ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুভাস ধরের (স্বর্গীয়) একমাত্র ছেলে। রাজীব ধর ঢাকায় ভাড়ায়চালিত মোটরবাইক চালাতেন। গত চার থেকে পাঁচ মাস ধরে তাঁর মাকে নিয়ে সাফাইশ্রী এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আজ রাত ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জড়িত কাউকে শনাক্তসহ গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রাজীব ধরের মা প্রতিভা ধর জানান, গত শুক্রবার রাতে তাঁর ছেলের পরিচিত কেউ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর রাতে বাড়ি ফেরেনি রাজীব। তার (রাজীব) মোবাইল ফোনটিও ছিল বন্ধ। পরে গতকাল শনিবার দিনভর ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।
কাপাসিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসাইন জানান, আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর কাছাকাছি কলাবাগানের ভেতর মরদেহটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলম চাঁদ জানান, নিহত রাজীবের মাথায় আট থেকে ১০টি গুরুতর জখম রয়েছে। এ ছাড়া বাঁ হাতের কবজির নিচে গভীর জখমসহ বাঁ কান ও চোয়াল বিচ্ছিন্ন ছিল। তিনি আরো জানান, এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে রাজীবকে।
রাজীব ধরের চাচা বাসুদেব ধর দাবি করেন, রাজীব খুবই নিরীহ ছেলে ছিল। তাঁর কোনো শত্রু ছিল না। কান্নায় ভেঙে পড়ে রাজীব ধরের মা প্রতিভা ধর বলেন, আমার একমাত্র ছেলে রাজীবকে যারা মারছে, তারা মানুষ নয়। তারা পশু। খুনিদের যেন ফাঁসি অয়।
ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতরা খুব দ্রুতই ধরা পড়বে আশা করছি। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাব, সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিট ও পিবিআইয়ের সদস্যরা ছায়া তদন্ত করছে।