নুরের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের হাতাহাতি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি | প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৫:৩৮ |
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধে ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুরের সমর্থকদের সঙ্গে ছাত্রলীগের হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে সংগঠনের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের নেতারা।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টার দিকে শহরের ফারুকী পার্কের স্মৃতিসৌধ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদের ব্যানারে ভিপি নূরের সমর্থকরা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যান। এ সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী বলে তাদেরকে শ্রদ্ধা নিবেদনে বাধা দেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও তার কর্মী-সমর্থকরা।
পরে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধ এলাকা ত্যাগ করার সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্মৃতিসৌধ এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ছাত্র ও যুব অধিকার পরিষদ নেতাকর্মীদের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়া জাতীয় পতাকা নিয়ে স্মৃতিসৌধের সামনের সড়কে মিছিল করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
ছাত্র অধিকার পরিষদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল মিয়া বলেন, আমরা আনুমানিক ৩০-৪০ জন স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই। ছাত্রলীগ নেতারা আমাদের বাধা দিয়ে বলে, ৪-৫ জনকে নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে। আমরা তাদের কথামতো ৪-৫ জন নিয়ে ফুল দিয়ে স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তর থেকে বের হয়ে যাই। পরবর্তীতে প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা করে। এতে আমাদের জেলা কমিটির সভাপতি আশরাফুল হাসানসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কোনো শিবিরকর্মী ছিলেন না। কয়েকজন মাদ্রাসাছাত্র ছিলেন।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সঙ্গে আমাদের কোনো হাতাহাতি বা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেনি। তারা শিবিকর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে গিয়েছিল। এ সময় তারা স্মৃতিসৌধে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে পরিবেশ নষ্ট করে। পরে ছাত্রসমাজের লোকজন তাদেরকে বিতাড়িত করে। পরবর্তীতে আমরা স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (অপারেশন্স) ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, স্মৃতিসৌধের অভ্যন্তরে কিছু হয়নি। বাইরে কিছু হয়েছে কি-না সেটি বলতে পারব না।