আদালতের এজলাসে বিয়ের পর ধর্ষণের আসামির জামিন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি |২০ ডিসেম্বর ২০২০, ১৯:০৫ |
ঝালকাঠির আদালতের এজলাসে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে নির্যাতিত তরুণীর বিয়ে হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে ঝালকাঠির অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহর আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর বিচারক আসামিকে জামিন দেন।
উভয়পক্ষের উপস্থিতে বিয়ে পড়ান কাজী মাওলানা মো. সৈয়দ বশির।
ধর্ষণ মামলার আসামি হলেন, বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দেহেরগাতি গ্রামের আনোয়ার সরদারের ছেলে নাঈম সরদার (২২), আর ভুক্তভোগী তরুণীর (১৮) বাড়ি ঝালকাঠির বালিঘোনা গ্রামে।
নবদম্পতিকে মিষ্টি মুখ করান আদালতের কর্মচারীরা।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল মান্নান রসুল বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়ে শেষে উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করান বিচারক মো. শহিদুল্লাহ। পরে বিচারক আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ফয়সাল খান জানান, ২০১৯ সালের শুরুর দিকে মোবাইলফোনে পরিচয়ের সূত্র ধরে নাঈম ও ওই তরুণীর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর নাঈম ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন অভিযোগে গত ৮ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে তরুণী একটি নালিশি মামলা করেন।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এর বিচারক মো. শহিদুল্লাহ নির্যাতনের শিকার তরুণীর অভিযোগ ঝালকাঠি থানায় এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন।
১২ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারায় এফআইআর রেকর্ড হলে একমাত্র আসামি নাঈমের বাবা আনোয়ার হোসেন ছেলেকে ১৩ নভেম্বর ঝালকাঠি থানায় সোপর্দ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাজমুজ্জামান আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করেন। আদালত নাঈমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আজ রোববার অবকাশকালীন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১–এ জামিন শুনানির সময় আসামি ওই তরুণীকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এই প্রস্তাবে তরুণীর পরিবার রাজি হলে বিচারক মো. শহিদুল্লাহ আদালতের এজলাসে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ের নির্দেশ দেন।
বিবাহের আনুষ্ঠানিকতা শেষে আদালতে কাগজপত্র জমা দিলে শুনানি শেষে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় আসামির জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
নাঈম পেশায় একজন ইলেক্টট্রিশিয়ান।